বিয়ে করার সাধ ছিল ষোলোআনা,
শুধু সামর্থ্যের অভাবে তার প্রেমিকা হাঁটা দিলো ঘুরপথে।
নাকি বয়েস বেড়ে যাচ্ছিলো।
এটা একটা রাতের ঘটনা।
রমাকান্ত তার সযত্নপালিত কুল্লে দুটো সাদা শার্টের
একটাকে কয়লার ইস্তিরিতে পালিশ করে আর অন্যটাকে
সার্ফ-জলে ভিজিয়ে হাঁটা দিলো রাইটার্স-এর দিকে।
একে বলে সকাল।
কৃষ্ণেন্দু “ইন্টারভিউ যাচ্ছি” বলে সটান পৌঁছে গেলো
মিলেনিয়াম পার্ক।
মুড়িমাখা দিয়ে লাঞ্চ সেরে পোয়াটাক গ্লানি ও
সেরখানেক frustration মাখা ঘুম।
এর নাম দুপুরের অঘটন।
নববিবাহিতরা যে যার ঘরে ফিরলো পড়িমরি করে…
ভেটেরান আর হাফ-সোলরা গেলো নানাবিধ আড্ডার উদ্দেশ্যে…
ব্যাচেলররা জুড়ি খুঁজছে…
এটা শহরের সন্ধ্যে।
আর দিনের শেষে সেই প্রেমিক, সেই প্রেমিকা, সেই রমাকান্ত আর সেই কৃষ্ণেন্দু,
রাতের বালিশে মাথা, জানলার ফাঁক ফস্কে চাঁদে চোখ,
জানতেও পারলো না তার চেয়েও দুখী মানুষ
পাওয়া যায় এ শহরে।
শুধু চাঁদ জানে সে কথা…
বড় হবার কষ্টগুলো।